ছন্দ ফেরাতে মরিয়া শামি

সময়: 9:53 am - July 10, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 65 বার
ছন্দ ফেরাতে মরিয়া শামি

ক্রীড়া: গত চার মাস ক্রিকেটের বাইরে রয়েছেন বেশিরভাগ ক্রিকেটাররা। যে কারণে ঘরে বসেই নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখার কাজটা করতে হচ্ছে তাদের। যা ভাল-মন্দ দুই প্রভাবই পড়ছে ক্রিকেটারদের উপরে। সে রকই মনে করছেন মোহাম্মদ শামি। তবে এ পেসার আপাতত নিজের ছন্দ ফেরাতেই মরিয়া। এজন্য নিজের বাড়ির বাইশ গজে ভাইয়ের সঙ্গে নেটে অনুশীলন করছেন।

বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে শামি বলেছেন, ‘লকডাউনকে দু’ভাবে দেখা যেতে পারে। কঠিন সূচির পরে ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠার আদর্শ সময় পাওয়া গিয়েছে। ফিটনেস ও শক্তি বাড়ানোর সময়ও পাচ্ছি প্রচুর। অন্য দিকে, একজন পেসারের ছন্দ নষ্ট হওয়ার প্রবল সম্ভাবনাও রয়েছে। নেটে ফেরার পরেই আসল পার্থক্য বোঝা যাবে।’

কবে ফিরবেন ভারতের জার্সিতে জানা নেই শামির। তবে যখনই সুযোগ হবে খেলতে অসুবিধা হবে না তার, ‘ভারতীয় দলের শিবির শুরু হলে আমার অসুবিধা হবে না। এখন থেকেই জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে। শরীরে কোনও জড়তাও আর অনুভব করছি না। ছন্দে ফিরে আসার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতেই হবে। এক বার ছন্দ পেলে আত্মবিশ্বাসও ফিরবে একশো শতাংশ।’

বর্তমান ক্রিকেটবিশ্বে শামির মতো রিভার্স সুইং হয়তো আর কারও হাতে নেই। কিন্তু বল রিভার্স করানোর সব চেয়ে জরুরি উপকরণ যে থুতু এবং লালা। করোনার প্রকোপে সে সবের ব্যবহার এখন নিষিদ্ধ। ঘাম দিয়ে কাজ চালাতে হবে। তিনি কি পুরনো অভ্যেস ত্যাগ করতে পেরেছেন? শামির জবাব, ‘অনুশীলনের মধ্যে নিজেকে সব সময় সচেতন রাখি। নিজেকে বলি, যাই হোক, থুতু ব্যবহার করা যাবে না। তবুও কয়েক বার ভুল হচ্ছেই। এত দিনের অভ্যেস হঠাৎ করে ত্যাগ করা খুবই কঠিন।’

করোনা পরবর্তী যুগে ক্রিকেটের নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে আইসিসি। এরমধ্যে অন্যতম বলে থুতু বা লালা ব্যবহার করা যাবে না। তাই শামিকে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন পুরনো বল দিয়ে নেটে বল করছেন? থুতু ব্যবহার না করলে কি আগের মতো রিভার্স সুইং পাচ্ছেন? শামি বলছেন, ‘অনেকেই এই প্রশ্ন করছে। কিন্তু একটা কথা বলি, ম্যাচে যে পুরনো বল ব্যবহার করি, তার সঙ্গে অনুশীলনের পুরনো বলে অনেক তফাত। অনুশীলনের প্রত্যেক বলই বাক্সে থাকে। যতই পুরনো হোক, কিছুটা হলেও আর্দ্রতা শুষে নেয়। ম্যাচে কিন্তু একটি বলের উপরে সারাক্ষণ পালিশ করা হচ্ছে। খেলা চলাকালীন পুরনো হচ্ছে বল।’

যদিও শামি পরীক্ষা করবেন পুরনো বল রিভার্স সুইং করছে কি না, ‘এক দিন নতুন বল দিয়ে নেট শুরু করব। টানা দুই থেকে তিন ঘণ্টা বল করে যাব। থুতু ব্যবহার করব না।।তার পরে পরীক্ষা করব রিভার্স সুইং করছে কি না।’

এই বিভাগের আরও খবর